||বিডিহেডলাইন্স ডেস্ক|| তিন বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তাজুল ইসলাম নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে খুনের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-১৪-এর বিচারক খন্দকার এ টি এম তোফায়েল আজ সোমবার এই রায় দেন।
দণ্ডিত আসামি হলেন মো. হৃদয়। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাদিয়া আফরিন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, খুনের দায়ে দণ্ডিত হৃদয় পেশায় একজন চোর। এই চোর তাঁর সংসার তছনছ করে দিয়েছেন। তিনি দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, নিহত তাজুল ইসলাম ওষুধ ব্যবসায়ী। মাতুয়াইলে তাঁর দোকান রয়েছে। পরিবার নিয়ে তিনি যাত্রাবাড়ীর গোবিন্দপুর এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানকার আটতলা ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন। তখন করোনার সময়। স্ত্রী-সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তিনি দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। দেখতে পান, বাসার প্রধান দরজার ফটকের তালা ভেঙে কেউ একজন ভেতরে ঢুকেছে। তখন ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার দেন তাজুল ইসলাম।
একটা পর্যায়ে আসামি হৃদয় তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় লোকজন হৃদয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে ব্যবসায়ী তাজুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হৃদয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন। সেই মামলা তদন্ত শেষে হৃদয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই মামলায় গত বছরের ২২ মার্চ হৃদয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।